‘কেউ আমার লাশ পাইলে ফোন দিয়েন বাসায়’

নীলফামারীর সৈয়দপুর রেললাইন থেকে শান্ত রায় (১৭) নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের ওয়াপদা মোড় রেলঘুন্টি এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার পরনের প্যান্টের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘কেউ আমার লাশ পাইলে ফোন দিয়েন বাসায়।’

শান্ত রায় উপজেলার সোনাখুলি ইউনিয়নের বোতলাগাড়ি গ্রামের সাগর রায়ের ছেলে ও সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার সকালে বাড়ির কাউকে কিছু না বলে ঘর থেকে বের হয় শান্ত। দুপুরে রেললাইনে দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। তার প্যান্টের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘কেউ আমার লাশ পাইলে ফোন দিয়েন বাসায়।’ চিরকুটে তার বাবার মোবাইল নম্বর দেওয়া রয়েছে।

রেলওয়ে পুলিশ জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সৈয়দপুর থেকে তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিলাহাটির দিকে রওনা হয়। ওয়াপদা মোড় লেভেল ক্রসিংয়ের সামনে ট্রেনটি পৌঁছালে কাটা পড়ে শান্ত রায়ের মৃত্যু হয়।

রেলওয়ে থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, ‘ট্রেনে কাটা পড়ে শান্ত রায়ের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করছি ওই কিশোর আত্মহত্যা করেছে।’

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি শফিউল ইসলাম বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার প্যান্টের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ধারণা করছি ওই কিশোর আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

ওসি আরও বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করেছি। স্বজনরা জানিয়েছেন আত্মহত্যা করার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতো শান্ত। এসএসসি মডেল টেস্ট পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছিল। কি কারণে আত্মহত্যা করলো তা জানার চেষ্টা করছি আমরা।’