‘বিএনপির ২৭ দফা ভূতের মুখে রাম নাম’

বিএনপি ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার’ ২৭ দফা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ ছাড়া কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি বলেছেন, ‘এমন রূপরেখা দেওয়ার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত বিএনপির।’

বিএনপির রূপরেখা প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউনকে এসব কথা বলেছেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই-তিন দিনের মধ্যে দলীয় মতামত জানাবে বলে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা।

বিএনপির রূপরেখা জনগণকে ধোঁকা দেওয়া ছাড়া কিছুই নয় উল্লেখ করে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘নিজেদের অপকর্ম আড়াল করে আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এমন রূপরেখা দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু দেশের জনগণ বিএনপির এই স্বপ্ন কোনোদিন বাস্তবায়ন হতে দেবে না।’

২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমার একমাত্র সন্তানকে রাজধানীর শনিরআখড়া থেকে গাড়িসহ অপহরণ করেছিল বিএনপির সন্ত্রাসীরা—এমন অভিযোগ করে রাঙ্গা বলেন, ‘ওই দিন আমার কেয়ারটেকার আকবর হোসেন ছেলের সঙ্গে ছিল। অপহরণের পর একদিন আমার ছেলেকে আটকে রেখে কেয়ারটেকার আকবরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল বিএনপির সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনার পর আমার রংপুরের গঙ্গাচড়ার বাড়ি পাঁচ মাস দখল করে রেখেছিল তারা। এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়ায় মামলা করে আজও বিচার পাইনি। একইভাবে ছেলেকে অপহরণ এবং কেয়ারটেকার হত্যার ঘটনায় সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছে বিচার চেয়েও পাইনি। এমনকি জাতীয় সংসদে বেশ কয়েকবার বিষয়টি উত্থাপন করলেও কোনও পদক্ষেপ নেননি খালেদা জিয়া।’

‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে হত্যাযজ্ঞ, অপহরণ, লুটপাট, দুর্নীতি ও হাওয়া ভবন তৈরি করে যেসব অপকর্ম করেছিল সেসব থেকে দৃষ্টি ফেরানোর জন্য রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার নামে জনগণকে প্রতারিত করে আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়’ বলেও জানিয়েছেন রাঙ্গা।

এদিকে, জাতীয় পার্টির দুজন এমপি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘বিএনপির ২৭ দফার মধ্যে ষড়যন্ত্র আছে। তাদের দেওয়া রূপরেখা পর্যবেক্ষণের পর দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত জানাবেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব।’