কমেছে পেঁয়াজের দাম, কেজি ২০ টাকা

আমদানি বাড়ায় দিনাজপুরের হিলিতে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ২৭-২৮ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা পাইকারিতে ১৭-১৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম কমায় খুচরা বাজারেও কমেছে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে হিলি বাজারে খুচরা পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দাম কমায় খুশি হয়েছেন নিম্নআয়ের মানুষজন।

হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‌‘বন্দর থেকে কিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মোকামের আড়তদারদের চাহিদামতো পেঁয়াজ পাঠাই। এক সপ্তাহ আগে থেকে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় মোকামগুলোতে চাহিদা বেড়েছিল। এজন্য ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এতে পেঁয়াজ কিনতে আমাদের পুঁজি যেমন বেশি লাগছিল তেমনি লাভ কম হচ্ছিল। মঙ্গলবার পেঁয়াজের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ২৭-২৮ টাকা কিনতে হয়েছিল বর্তমানে তা ১৭-১৮ টাকায় কিনছি। এজন্য খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম কমেছে।’

পেঁয়াজের দাম কমার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশি পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে চাহিদা কমেছে। ফলে দাম কমেছে।’

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে বন্দর দিয়ে আমদানি অব্যাহত রেখেছেন আমদানিকারকরা। ডলার সংকটের কারণে এতদিন চাহিদা মতো এলসি খোলা যায়নি। ফলে পুরনো এলসির বিপরীতে পেঁয়াজ আসছিল। বর্তমানে ব্যাংকগুলো অনুমতি দেওয়ায় আমদানিকারকরা এলসি খুলেছেন। এতে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠায় সরবরাহ বেড়েছে। সেইসঙ্গে দেশি পেঁয়াজের দাম কম থাকায় আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদা কমেছে। অপরদিকে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ আমদানি বাড়ায় কম দামে বিক্রি করছেন আমদানিকারকরা। ফলে খুচরা বাজারে দাম কমেছে।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‌‘বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। আগে ৮-১০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে ১৮-২০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের প্রথমদিন শনিবার ২১ ট্রাকে ৬২০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। রবিবার ২০ ট্রাকে ৬১২ টন আমদানি হয়েছে। সোমবার ১৯ ট্রাকে ৫৫৯ টন আমদানি হয়েছে। আজও আমদানি অব্যাহত আছে।’

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সুজন হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহে ৩০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ ২০ টাকায় কিনেছি। পেঁয়াজের দাম কমায় আমার মতো নিম্নআয়ের মানুষের সুবিধা হয়েছে।’

হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাকিল খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহ আগে যে পেঁয়াজ ৩০ টাকা বিক্রি করেছি আজ তা ২০ টাকায় বিক্রি করছি। মূলত আমদানি বাড়ায় ও বাজারে দেশি পেঁয়াজ উঠায় দাম কমেছে। নতুন পেঁয়াজ আরও উঠলে পুরনো পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।’