‘ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে’

উত্তরের দুঃখ তিস্তা নদী উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘এই অঞ্চলের মানুষের দুঃখ লাঘবে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে সরকার। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথা সরকারকে সময় দিতে হবে। সরকারের ওপর আস্থা রাখতে হবে।’  

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের মোস্তফীহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের রজতজয়ন্তী উৎসব-২০২২ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
 
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার বদ্ধপরিকর। ফলে দেশের আনাচে-কানাচে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। অন্ধকার বাংলাদেশকে আলোকিত বাংলাদেশে রূপান্তর করা হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। মেট্রোরেল চালু হয়েছে। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এখন মাথা উঁচু করে সাহস দেখাচ্ছে। এসব উন্নয়ন বিরোধী দলের ভালো লাগে না। উন্নয়ন তাদের অন্তরের জ্বালা। মানুষ পুড়িয়ে লাভ নেই। নির্বাচনে আসুন। জনগণ আপনাদের ভোট দিলে আমাদের কিছুই করার নেই। নির্বাচনে না এসে এবার মানুষ পোড়ালে সেই আগুনে নিজেরাই পুড়ে ছারখার হয়ে যাবেন।’

মোস্তফীরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মোতাহার হোসেন এমপি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, ৮ নম্বর গোকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ টোটন ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে মোতাহার হোসেন এমপি বলেন, ‘লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও রংপুর জেলার একমাত্র দুঃখ তিস্তা নদী। এই নদীকে ঘিরে প্রস্তাবিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা এখন সময়ের দাবি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে হলে কৃষিনির্ভর লালমনিরহাটের বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও বিমানবন্দর চালু করা প্রয়োজন। এছাড়া কোনোভাবেই পিছিয়ে পড়া লালমনিরহাট জেলার উন্নয়ন সম্ভব নয়।’  

এর আগে মন্ত্রীসহ অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মোস্তফীহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসন ও স্কুলের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে সংবর্ধনা ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়। স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সরকারদলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।