দিনেও বাতি জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে ট্রেনকে

দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এই জেলায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা এখনও ১০ ডিগ্রির ওপরে থাকলেও ঘন কুয়াশায় নাকাল এই জেলার মানুষ। 

এই কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে ট্রেনকে। জেলার হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্টেশনে ট্রেন আসতেও দেরি হচ্ছে। প্রতিটি ট্রেন আধা ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা দেরি করে স্টেশনে আসছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন এই পথে চলাচলরত ট্রেনের যাত্রীরা। ঘন কুয়াশার কারণেই ট্রেনের দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

ট্রেনের যাত্রী রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা জয়পুরহাট কলেজে লেখাপড়া করি। নিয়মিত হিলি থেকে ট্রেনে করে জয়পুরহাট যাই। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেন বিলম্বে আসছে- এতে অনেক সময় ধরে স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সময়মতো ট্রেন না আসার কারণে ক্লাস ধরতে না পারাসহ আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

dinajpur2

আরেক যাত্রী শেরেগুল ইসলাম বলেন, হিলি থেকে আত্রাই যাচ্ছি কাজ করতে। কিন্তু শীত ও কুয়াশার কারণে ট্রেন আসতে বিলম্ব হচ্ছে। আগে যে সময়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে তিতুমীর এক্সপ্রেস আসতো এখন সেটি আসতে আসতে ১২টা বেজে যাচ্ছে। যার কারণে ট্রেনের অপেক্ষায় স্টেশনে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। শীতের মধ্যে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

হিলি রেল স্টেশন মাস্টার তপন কুমার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বর্তমানে ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেন বিলম্বে চলাচল করছে। যেহেতু ট্রেনের সিগন্যাল মেনে চলতে হয় কিন্তু কুয়াশার কারণে সেই সিগন্যাল দেখতে সমস্যা হওয়ায় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। কোনও ট্রেন আধা ঘণ্টা কোনও ট্রেন এক ঘণ্টা কিংবা দুই ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করছে। ক্রসিং বিপর্যয়ের কারণে এই সমস্যা হচ্ছে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আজ দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ ভাগ।