বিয়ের অনুষ্ঠানে মাংস কম দেওয়ায় সংঘর্ষ, বরের বাবা নিহত

নীলফামারীর জলঢাকায় বিয়ের অনুষ্ঠানে মাংস কম দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বরের বাবা নুরু মিয়া (৬২) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জলঢাকা পৌরসভার আমরুলবাড়ী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় কনের বাবা আনারুল ইসলাম (৬৩) ও প্রতিবেশী বাবুল ইসলামকে (২৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জলঢাকা থানার ওসি ফিরোজ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত এক সপ্তাহ আগে রংপুর নগরীর হাজির হাট উত্তম বাওয়াই পাড়া গ্রামের বাসিন্দা নুরু মিয়ার ছেলে জবান আলীর (২২) সঙ্গে পারিবারিকভাবে একই গ্রামের আনারুল ইসলাম ভান্ডারীর মেয়ে জান্নাতি আক্তারের (২০) বিয়ে হয়। গতকাল রাতে ছিল বিয়ের খাওয়া দাওয়ার অনুষ্ঠান।

আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে নববধূকে নিতে আসেন বর পক্ষের লোকজন। বর পক্ষের ১০০ জন মেহমান আসার কথা থাকলেও সেখানে এসেছেন প্রায় ২৫০ জন। এতে খাওয়ার সময় মাংস কম পড়ে বর পক্ষের লোকের। এ নিয়ে কনে পক্ষের সঙ্গে বর পক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বরের পিতা আহত হলে উদ্ধার করে স্থানীয় জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যান।

এ বিষয়ে জলঢাকা থানার ওসি ফিরোজ কবির বলেন, শনিবার দুপুরে নিহতের ছেলে (বর) জনাব আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অন্য আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, আজ বিকালে কনের বাড়ি পরিদর্শনে আসেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিরুল ইসলাম, জলঢাকা থানার ওসি ফিরোজ কবির, পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু প্রমুখ। তবে কনের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। ভয়ে সবাই পালিয়ে গেছেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।