দিনাজপুরে কেউ ডুবলে উদ্ধারে ডুবুরি আসে রংপুর থেকে

দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে নেই ডুবুরি দল। কোনও দুর্ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে ডুবুরি দল আসে রংপুর থেকে। এতে দুর্ঘটনায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে যায়।

দিনাজপুর জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় মোট ১৩টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার স্টেশনটি ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত। এছাড়াও হাকিমপুর ও বিরামপুর উপজেলার স্টেশন দুইটি ‘সি’ শ্রেণিভুক্ত। বাকি ১০টি উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনগুলি ‘বি’ শ্রেণিভুক্ত।

‘এ’ শ্রেণিভুক্ত স্টেশনটিতে আগুন নির্বাপক, পরিদর্শন এবং ফায়ার অ্যাম্বুলেন্সসহ মোট ছয়টি গাড়ি রয়েছে। অন্যদিক ‘বি’ শ্রেণিভুক্ত স্টেশনগুলিতে রয়েছে দুইটি পানির গাড়ি এবং ‘সি’ শ্রেণিভুক্ত স্টেশনে রয়েছে একটি পানির গাড়ি। জেলা পর্যায়ে প্রয়োজন ভিত্তিতে জনবল রয়েছে প্রায় ৩০ জন। আর প্রতিটি স্টেশনে রয়েছেন ১৬ জন ফায়ার ফাইটার, চার জন ড্রাইভার, দুই জন লিডার, একজন সাব অফিসার এবং একজন স্টেশন অফিসার। 

দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস

কর্মকর্তারা বলছেন, বিরামপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি ‘এ’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। এখন শুধু ঘোষাণার অপেক্ষায়। জেলা পর্যায়ে ডুবুরি দলের জন্য অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ে আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

দিনাজপুর বাঙ্গীবেচা নামক এলাকার রফিকুল বলেন, ‘দিনাজপুরের প্রায় সময় পানিতে ডুবে মৃত্যুর খবর আমরা পাই। পানিতে ডুবে কেউ হারিয়ে যায় তখন ডুবুরির জন্য বসে থাকতে হয়। কারণ ফায়ার সার্ভিসে কোনও ডুবুরি নেই।’

দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক বলেন, ডুবুরি দলের পদ কেবল বিভাগীয় পর্যায়ে আছে। সদর উপজেলাতে দুই জন ডুবুরি কাম ফায়ার ফাইটার আছেন। যখন আমাদের ডুবুরি দলের প্রয়োজন হয়, তখন রংপুরে আমরা খবর দিই। তারা এসে উদ্ধারকাজ করে। জেলা পর্যায়ের ডুবুরি দলের জন্য অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’