ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগের ওপর হামলা: যুবলীগ নেতাসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার রাত ২টায় মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মিলন ও তার চাচাতো ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ নয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১১ জনকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে। ফুলবাড়ী থানার ওসি ফজলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার তিনকোণা মোড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান গ্রুপ। এতে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মিলন মদত দেন বলে অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের। 

হামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ উভয় পক্ষের সাত জন আহত হন। 

এ ঘটনার পর উপজেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে হামলা চালায় মেহেদী গ্রুপ। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, ঘটনার পর ওই রাতেই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। তবে মামলা নথিভুক্ত করতে টালবাহানা করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তৌকির হাসান তমাল বলেন, ‘পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের  ওপর হামলা হয়েছে। ঘটনার রাতেই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মিলনের সঙ্গে থানা পুলিশের সখ্যতার কারণে মামলা নিতে গড়িমসি করেছে। নানা নাটকীয়তা শেষে এজাহার সংশোধন করে বৃৃহস্পতিবার রাতে মামলা রেকর্ড করেছে। তবে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি।’

এ ব্যাপারে ওসি ফজলুর রহমান বলেন, ‘মামলা হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

হামলার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নে কোনও উত্তর দিতে রাজি হননি ওসি।