জমিতে খাল খনন বন্ধের দাবি কৃষকদের

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারীতে খাস জমি ছাড়াও কৃষকের প্রায় ৬০০ একর জমিতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) খাল খনন করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শতাধিক কৃষক। এভাবে খাল খননের প্রতিবাদ ও খননকাজ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। 

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের মরা সংকোশ নদীর তীরে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে এলাকার দুই শতাধিক কৃষক অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা পারভীন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, স্থানীয় কৃষক মমিন মন্ডল, তজিম উদ্দিন, আব্দুল হক, আমিনুর ইসলামসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ খাল খননের নামে খাস জমির পাশাপাশি অনেক কৃষকের কৃষি জমি খনন করছে। এতে অনেক কৃষক খাদ্য উৎপাদন করতে পারবেন না। তারা সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন। বক্তারা কৃষকদের মালিকানাধীন জমিতে খাল খনন কাজ স্থগিত করার দাবি জানান।

তবে কৃষকদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ। বিএমডিএ বলছে, কোনও কৃষকের মালিকানাধীন জমিতে প্রকল্পের খনন কাজ করার সুযোগ নেই। শুধুমাত্র সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে প্রকল্পের কাজ চলছে।

বিএমডিএ নাগেশ্বরী উপজেলা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ইআইআরপির আওতায় চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের মরা সংকোশ নদীর ভেল্লিকুড়ি থেকে হুচারবালা ত্রিমোহনী পর্যন্ত ছয়টি প্যাকেজের আওতায় ছয় হাজার ৯০০ মিটার এলাকায় খাল খনন চলছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা। কাজগুলোর মধ্যে পাঁচটি প্যাকেজের কাজ নওগাঁর মেসার্স খান ট্রেডার্স এবং একটি প্যাকেজের কাজ একই এলাকার মোসলেম উদ্দিন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করছে।

বিএমডিএ’র কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কৃষকের মালিকানাধীন জমি খননের প্রশ্নই আসে না। আমরা শুধু খাস জমি
খনন করবো।’

কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘প্রকল্প এলাকাটি আগে নদী ছিল। পরে যে যার মতো করে ভরাট করে ভোগদখল করছিল। এখন হয়তো স্বার্থে আঘাত লাগার কারণে এমন অভিযোগ করছেন কৃষকরা।’