‘মানুষকে চাপে ফেলে রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে’

আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন অথচ করযোগ্য আয় নেই—এমন ব্যক্তিদের ওপর ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। বিষয়টিকে সাধারণ মানুষকে চাপে ফেলে রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল বলে মনে করেন রংপুর চেম্বার সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর অঞ্চলের দারিদ্র্য নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কৃষি নির্ভরতার পাশাপাশি শিল্প নির্ভরতা বাড়াতে আলাদা ঋণ, কর ও ভ্যাট নীতি প্রণয়ন, তিস্তা মহাপরিকলল্পনা বাস্তবায়ন, রংপুরে প্রস্তাবিত স্পেশাল ইকোনমিক জোন ও উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে ‘‘নর্থ বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্ট্রি’’ গঠনের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত ছিল।’

মোস্তফা সোহরাব বলেন, ‘এই বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, কর্মসংস্থানমুখী ও দেশীয় শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। এটি বাস্তবায়নে দুর্নীতি প্রতিরোধ, অর্থপাচার রোধ ও প্রবৃদ্ধির সুফল যেন সুষমভাবে বণ্টন হয় সেদিকে নজর দিতে সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মূল্যস্ফীতি যে হারে বেড়েছে সামাজিক সুরক্ষা ভাতা সেভাবে বাড়েনি। শুধু খাদ্য ছাড়াও মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে বাসস্থান, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা প্রয়োজন। সামাজিক সুরক্ষার অপ্রতুলতা আগেও ছিল, এখনও রয়েছে। তাই সংশোধিত বাজেটে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনার অনুরোধ করছি।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে চাপে ফেলে রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে। বাজেটের আকার ও পরিচালন ব্যয় দুটোই বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে রাজস্ব সংগ্রহ কাঙ্ক্ষিত হারে না বাড়লে সরকারের ব্যাংক নির্ভরতা আর্থিক খাতকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেলবে। তবে বেসরকারি বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রস্তাবিত বাজেটে করজাল বৃদ্ধির যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত যুগোপযোগী।’