স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর থানায় গিয়ে স্বামীর আত্মসমর্পণ 

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গায় স্ত্রী শেফালী খাতুনকে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন মহসীন আলী। 

পুলিশের ধারণা, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শেফালী খাতুনকে হত্যা করেছে মহসীন আলী। পরে শয়ন কক্ষের আড়ার সঙ্গে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়।

শনিবার (৮ জুলাই) রাত ৮টার দিকে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় শেফালীর হাতে থাকা একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। 

অভিযুক্ত স্বামী মহসীন আলী (২৭) নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, চার বছর আগে মহসীন আলীর সঙ্গে শেফালীর বিয়ে হয়। মহসীন কোনও কাজকর্ম করতেন না। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই লাগতো। শনিবার সন্ধ্যায় ঝগড়ার এক পর্যায়ে মহসীন শেফালীকে হত্যা করেন। পরে এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করতে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখেন। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা শেফালীর হাতে একটি চিরকুট ছিল। এতে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, কারও কোনো দোষ নেই’। 

সাদুল্লাপুর থানার ওসি মাহাবুর রহমান বলেন, ওই চিরকুটটি মহসীনের লেখা বলেই মনে করা হচ্ছে। নিজের উপর থেকে সন্দেহ সরাতে তিনি কাজটি করেন। পুলিশ ব্যাপারটি  খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।