হত্যা মামলার আসামিকে পিটুনি, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৪ বছরের শিশু আবদুল্লাহ বায়েজিদ হত্যা মামলার আসামি সেরেকুল ইসলামকে (৫০) পিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিন জনকে আটক করেছে।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্দা চৌরাস্তা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সেরেকুল ইসলাম মনোহরপুর ইউনিয়নের বালুখোলা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। তার ছেলে সাকিব হাসান ওরফে রোমান (১৯) শিশু বায়োজিদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাতে ঘোড়াবান্দা চৌরাস্তা বাজারের একটি চা দোকানে সেরেকুল ইসলামকে অবস্থান করতে দেখা যায়। এমন খবরে শিশু বায়েজিদের গ্রামের শত শত উত্তেজিত নারী-পুরুষ বাজারের চা দোকানে ঢুকে সেরেকুলকে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে বের করে। এরপর রাস্তার ওপরে ফেলে তাকে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে চলে যায় উত্তেজিত জনতা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় সিরিকুলের।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, উত্তেজিত জনতার পিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে সেরেকুল ইসলামের। শিশু বায়েজিদ হত্যার ঘটনায় সেরেকুল জড়িত। ঘটনার পর তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু কিছুদিন পরেই জামিনে বেরিয়ে আসেন। মামলার প্রধান আসামি তার ছেলে সাকিব হাসান কারাগারে আছে। এ পর্যন্ত মামলায় মোট ১০ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মে নিজ গ্রাম তালুক ঘোড়াবান্দা বালুখোরা গ্রামের সৌদি প্রবাসী তাহারুল ব্যাপারীর ছেলে আবদুল্লাহ বায়েজিদ বাড়ির সামনে খেলা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে গত ১৩ মে সন্ধ্যায় বালুখোলা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুর মা রায়হানা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার প্রধান আসামি সাকিব হাসান ওরফে রোমানের দাবি, বায়েজিদের বোনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মেয়েটি তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে ক্ষিপ্ত হয় রোমান। এর জেরে সে মেয়েটির ছোট ভাই বায়েজিদকে হত্যার পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে সোমবার (৮ মে) বায়েজিদ নিখোঁজ হওয়ার দিনই তাকে হত্যা করে রোমান।