টিকিট না থাকায় বাগবিতণ্ডার জেরে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেছেন সহপাঠীরা।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে একতা এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানান তারা। পরে রেলওয়ে ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আশ্বাসে পৌনে এক ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। রাত সোয়া ৯টা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে রবিবার দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। আব্দুর রাজ্জাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার অ্যান্ড সায়েন্স বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহপাঠীরা জানান, ঢাকা থেকে আব্দুর রাজ্জাক এবং তার এক বন্ধু একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে দিনাজপুরে আসছিলেন। পথে একজন ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) তাদের টিকিট চেক করলে একটি টিকিট দেখান। এ সময় তাদের কাছে আরেকজনের টিকিটের টাকা দাবি করেন টিটিই। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে রাজ্জাককে মারধর করেন টিটিই ও তার সহকারী।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, টিটিইকে আমরা একটি টিকিট দেখাই। অপর টিকিট না থাকায় জরিমানা করে টাকা দাবি করেন। আমার কাছে তখন টাকা না থাকায় বন্ধুর কাছ থেকে নিয়ে দিতে চাই। কিন্তু টাকা দিতে দেরি হওয়ায় বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে টিটিই এবং তার সহকারী আমাকে মারধর করেন। নেমপ্লেট খুলে রাখায় টিটিই ও তার সহকারীর নাম দেখতে পাইনি। পরে বিষয়টি সহপাঠীদের জানালে তারা প্রতিবাদ জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের সুপার জিয়াউল হক বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা। মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।