হাত-পায়ের রগ কেটে যুবলীগ নেতাকে হত্যা, আটক ৪

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হাত-পায়ের রগ কেটে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে (৩৮) হত্যার ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, হত্যা ঘটনার পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চার জনকে আটক করা হয়েছে। তারা বিএনপি-জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় জানাতে চাননি তিনি। এ ছাড়া হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। দুপুরের মধ্যে বাড়িতে পাঠানো হবে।

এদিকে, জাহিদুল ইসলামকে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ছাইতনতলা বাজারে বিক্ষোভ করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান।

উল্লেখ্য, রবিবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল এবং তার বাবা কবির মিয়া মোটরসাইকেলে করে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজ এলাকায় এলে ৭-৮ জন তাদের গতিরোধ করে হামলা চালায়।

এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। আর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তার সঙ্গে থাকা কবিরকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। এরমধ্যে জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির পর রক্তক্ষরণ হওয়ায় মৃত্যু হয় তার।

নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে।