গাইবান্ধা জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে ১৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র ৩৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
এরমধ্যে গাইবান্ধা-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবরী ও তার স্ত্রী মাসুমা আক্তারের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সমর্থন ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জানা গেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ সারোয়ার কবীর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেন। তিনি দলের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চেয়েও পাননি।
এছাড়া মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে গাইবান্ধা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের। নমুনা ভোটারের সই ও তথ্যের গড়মিলের অভিযোগে নিগারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে তার মা আওয়ামী লীগ মনোনীত আফরুজা বারীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বৈধ ও বাতিল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী বাতিল হওয়া ১৭ জনের মধ্যে অপর ১৪ প্রার্থী হলেন-গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের খেলাফত আন্দোলনের হাফিজার রহমান সরদার, স্বতন্ত্র মোস্তফা মহসিন, এবিএম মিজানুর রহমান ও গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম।
গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবু তাহের সায়াদ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম ও সাজেদুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে জাসদের খাদেমুল ইসলাম খুদি ও স্বতন্ত্র আবু জাফর তৈয়বের।
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তারা হলেন-এনপিপির রুমি আকরাম, স্বতন্ত্র জাহাঙ্গীর হোসেন ও শ্যামলেন্দু মোহন রায়।
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলি ও স্বতন্ত্র এইচ এম এরশাদের।
তবে মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আব্দুল মোত্তালিব।