‌‘এবার এমপি হলে ১৬ ইউনিয়ন হবে স্মার্ট, নিশ্চিত হবে সব সরকারি সেবা’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। ভোট সামনে রেখে গণসংযোগ ও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটছেন নির্বাচনি এলাকার প্রতিটি গ্রামে। করছেন পথসভা ও উঠান বৈঠক। এলাকায় আরও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে এবার এমপি নির্বাচিত হলে ১০টি উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভোটারদের।

নির্বাচনি এলাকায় পথসভায় বক্তব্য রেখেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক এমপি করিম উদ্দিন আহমেদের বড় ছেলে নুরুজ্জামান আহমেদ। তৃতীয়বারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে লালমনিরহাট-২ আসনে লড়ছেন। এর আগে দুই মেয়াদে এমপি থাকাকালে খাদ্য প্রতিমন্ত্রী, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী হন। ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আসনটিতে আওয়ামী লীগের শক্ত প্রার্থী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। এবারও জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থী।

নৌকার প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদের পথসভায় উপস্থিত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ

নুরুজ্জামান আহমেদের ১০ প্রতিশ্রুতি

১. কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে অগ্রাধিকার ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ।
২. তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ।
৩. চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও কৃষকদের সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ।
৪. সর্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিত ও নতুন স্কুল-কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ।
৫. সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন।
৬. লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন।
৭. সরকারের পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণে বেসরকারি খাতকে উৎসাহ প্রদান।
৮. নির্বাচনি এলাকার ১৬ ইউনিয়নকে স্মার্ট ইউনিয়ন হিসেবে গঠন।
৯. সর্বস্তরের মানুষের জন্য সরকারি সেবা নিশ্চিতকরণ।
১০. আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন।

নুরুজ্জামান আহমেদের ১০ প্রতিশ্রুতি

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘গত ১০ বছরে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছি। গ্রামের রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও স্কুল-কলেজের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আদিতমারীতে স্বর্ণামতি সেতু করেছি। একই উপজেলায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর বাম তীর রক্ষা বাঁধ তৈরি করেছি। ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মা ও শিশু হাসপাতাল তৈরি করেছি।’

ভোট সামনে রেখে গণসংযোগ ও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মন্ত্রী

কালীগঞ্জে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন করেছি উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘নির্বাচনি এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি। বন্যাদুর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। দুই উপজেলায় দুটি কলেজ ও স্কুল সরকারিকরণ হয়েছে। এছাড়া গ্রামীণ সড়ক ও মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছি। এসব উন্নয়ন দেখে আবারও এখানের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়ী করবে। এবার জয়ী হলে আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করবো।’

নৌকার প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদের পথসভায় মানুষের ঢল