দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ: জি এম কাদের

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে এবং কোনও ব্যবস্থাই কাজ করছে না। সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে। মানুষের জীবিকা নির্বাহ নাগালের বাইরে চলে গেছে।’

বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় পল্লী নিবাসে দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশের সার্বিক অবস্থা প্রসঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ‌‘এই মুহূর্তে রাজনৈতিক অস্থিরতা চোখে পড়ছে না। তবে ভেতরে-ভেতরে একটা অস্থিরতা তো নিশ্চয়ই আছে। নির্বাচনের প্রথমদিন থেকে আমি এটা সব সময় বলে আসছি, এই নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হয়েছে। এ নিয়ে অনেকের প্রশ্ন আছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনি (জি এম কাদের) অসাংবিধানিক বক্তব্য রেখেছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘আমি কোনও অসাংবিধানিক বক্তব্য দিইনি। বিরোধী দল হিসেবে সংসদে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্পিকারের কাছে কী কী প্রত্যাশা, সেটা জানিয়েছি এবং যুক্তিও দিয়েছি। এটা অনেকে রেওয়াজ বলেছেন। আসলে রেওয়াজ মানুষ তৈরি করে, আবার রেওয়াজ মানুষই ভাঙে। যারা অসন্তোষ হয়েছেন তারা আমার কথা যথাযথভাবে বুঝতে পারেননি।’

সকালে ঢাকা থেকে বিমানে করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে রংপুরে আসেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত ১১ সংসদ সদস্য। এ সময় জি এম কাদেরের সঙ্গে থাকা দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা যখন সংসদে ছিলেন, তখন বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পার্লামেন্ট কাঁপিয়ে রাখতেন। এবার এই পার্লামেন্টে বিরোধী দলের নেতা জি এম কাদের। তিনি অনেকবার এমপি ছিলেন, উপনেতা ছিলেন এবং মন্ত্রীও ছিলেন। আমরা পোড় খাওয়া জনপ্রতিনিধি। দেশবাসী আমাদের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করতে পারব। সংখ্যাটা বড় নয়, বড় হলো আন্তরিকতা ও দায়িত্বপালনের ইচ্ছা। সেই ইচ্ছা ও আন্তরিকতা আমাদের আছে।’