রংপুরের বদরগঞ্জে ডাকাতের কবলে পুলিশের এসআই

রংপুরের বদরগঞ্জ থানার পুলিশের এস আই মেহেদী হাসান ডাকাতির কবলে পড়ে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ খুইয়েছেন। পুলিশের পরিচয় দেওয়ার পর ডাকাতরা তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। খবর পেয়ে টহল পুলিশের একটি দল তাকে উদ্ধার করে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের লালদিঘি সড়কের কদমতলি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল লতিফ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের বদরগঞ্জ লালদিঘি সড়কের কদমতলি এলাকায় এ দিন রাত সোয়া ১২টার পর থেকে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ১৫-২০ সদস্যের ডাকাত দল ফ্রি স্টাইলে ডাকাতি শুরু করে। এ সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীসহ যারাই এসেছে সবাইকে তারা অস্ত্রের মুখে আটক করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও ৩টি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। রাত প্রায় ১টার দিকে বদরগঞ্জ থানার এস আই মেহেদী হাসান থানায় ফিরছিলেন। কদমতলি এলাকায় পৌঁছালে ডাকাতরা তাকে আটক করে তার কাছ থেকে মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়। এরপর তার মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ কেড়ে নিলে তিনি প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে পুলিশের এস আই পরিচয় দিলে ডাকাতরা তাকে গণপিটুনি দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। এরপর পুলিশের একটি টহল দল ওই সড়কে এলে ডাকাতরা পুলিশের এস আইয়ের মোটরসাইকেলটি রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশের টহল দল আহত অবস্থায় মেহেদী হাসানকে উদ্ধার করে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

জানা গেছে, পুলিশের এস আই ছাড়া আরও অন্তত ১০ জন পথচারী ডাকাতদের কবলে পড়েন। তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থসহ মালামাল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।

এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল লতিফ সাংবাদিকদের জানান, কদমতলি নামক স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা এস আই মেহেদী হাসানকে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর বর্তমানে সে আশঙ্কামুক্ত। এ ঘটনায় ডাকাতির মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং ডাকাতদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।