ভারত থেকে ৫০ হাজার টন আসার খবরে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমলো ২০ টাকা

দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম প্রায় প্রতিদিনিই ওঠানাম করছে। আবারও ভারত থেকে পণ্যটি আমদানির খবরে সরবরাহ বাড়ায় দুই দিনের ব্যবধানে দাম পাইকারি ও খুচরায় কেজিতে ২০ টাকা করে কমেছে। পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি নিন্ম আয়ের মানুষজন। দাম যেন আরও কমে সেই দাবি ভোক্তাদের তাদের। 
এদিকে, মোকামে সরবরাহ বাড়ায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে দাবি বিক্রেতাদের। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে এবং বাজারে ঢুকলে আরও কমবে কমতে পারে।

মঙ্গলবার সরেজমিনে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের সবকটি দোকানেই দেশীয় পেঁয়াজের বেশ ভালো সরবরাহ লক্ষ্য করা গেছে। দাম আগের তুলনায় কমতির দিকে রয়েছে। দুই দিন আগে প্রতি কেজি দেশীয় পেঁয়াজ পাইকারিতে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরায় প্রতি কেজি ১১০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে কমে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুল লতিফ বলেন, পেঁয়াজের বাজার আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। দুদিন হলো বাজার থেকে পণ্যটি কিনে নিয়ে গেলাম ১১০ টাকা করে। আর আজ বাজারে এসে কিনলাম ৯০ টাকায়। দুই দিনের ব্যবধানে দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা করে কমেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখীর কারণে আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর ওপর আর কয়েকদিন পরই রমজান শুরু হচ্ছে, এই সময়ে খরচ আরও বেশি হয়। তাই পেঁয়াজের দাম কমায় আমাদের সুবিধা হয়েছে। দাম আরও কমলে আমাদের মতো গরিব মানুষের জন্য ভালো হয়।

বাজারে আসা আশরাফুল হক বলেন, পেঁয়াজ আগে ছিল ১১০ টাকা কেজি আর আজকে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দাম কমার কারণে আমাদের মতো মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছে। ভারত পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে- যার কারণে আমদানি শুরু হচ্ছে। এই খবরেই দাম কমছে। আমরা চাই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হোক যাতে করে দাম ৩০/৩৫ টাকার মধ্যে থাকে।

অপর পেঁয়াজ ক্রেতা সবুজ হোসেন বলেন, পেঁয়াজের দামটা ওঠানামা করছে। দুই দিন বাড়ছে তো একদিন কমছে। তবে বাড়ার প্রবণতাই বেশি। দাম বাড়তে বাড়তে ১১০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের বেশ সমস্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যেখানে আগে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতাম দাম বাড়ায় আধা কেজি কিনে সংসার চালিয়েছি। কারণ রাতারাতি যেভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল সেই তুলনায় আয় বাড়ছে না।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত মান্না বলেন, সম্প্রতি ভারত সরকার বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সেই পেঁয়াজ আমদানি শুরু হচ্ছে। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় পাবনা, মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন মোকামগুলোতে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। এতে রমজানে বাড়তি দামের আশায় যেসব মানুষ তাদের পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন তারা এখন সেসব বাজারে ছাড়তে শুরু করেছেন।

এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, আগে যে পেঁয়াজ আমরা মোকাম থেকে ৪০০০ থেকে ৪২০০ টাকা কিনেছি এখন তা ৩২০০-৩৩০০ টাকায় নেমেছে। দুই দিনের ব্যবধানে মণ প্রতি এক হাজার টাকা করে কমেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢুকলে দাম আরও কমে আসবে।