‘অভিযানে নামলে পণ্যের দাম কমে, চলে আসার পর বেড়ে যায়’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘বাস্তবতা হলো আমরা যখন কোথাও অভিযানে যাই তখন পণ্যের দাম কমে যায়। আবার চলে আসার পর দাম বেড়ে যায়। এজন্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা প্রয়োজন। বাজার মনিটরিংয়ের পর পণ্যের দাম বেড়ে গেলে সে দায় তো ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের।’ শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টায় রংপুর সিটি বাজারে বাজার মনিটরিং ও পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আজ আমরা এখানে পণ্যের যে দাম দেখলাম এটি যদি পরে বেড়ে যায়, সে দায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের। তারা না চাইলে দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে না। দেশে হাজার হাজার বাজার আছে। সেগুলো পাহারা দিয়ে রাখা সম্ভব না। ভোক্তা বিএসটিআইয়ের যে লজিস্টিক সাপোর্ট আছে, তা দিয়েও সম্ভব না।’

নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কারণে জিনিসপত্রের দাম কমেছে জানিয়ে ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘বাজার মনিটরিংয়ের ফলে ৮০০ টাকার তরমুজ আজকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা থেকে ৫৯৫ টাকায়, ১০০ টাকার বেগুন ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নিয়মিত মনিটরিংয়ের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে, না হলে পাগলা ঘোড়ার মতো দাম বাড়তো।’

গণমাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের উচ্চমূল্য প্রচার হলেও দাম কমার বিষয়ে প্রচার হয় না উল্লেখ করে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘এর ফলে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগটা গ্রহণ করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। রমজানে উত্তরাঞ্চলে দ্রব্যমূল্যের দাম কেন বাড়ছে সেই বিষয়ে মনিটরিংয়ের জন্য আমরা এসেছি। আমরা বাজারে আসলে দাম কমে, চলে গেলে আবার দাম বাড়ে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য বাজার মনিটরিং করছি। একইভাবে অন্যান্য জেলায় এই মনিটরিং করা হচ্ছে।’

সিটি বাজার মনিটরিংয়ের সময় বিএসটিআইয়ের নকল লোগো ব্যবহারের দায়ে ১০ হাজার এবং ভোক্তা অধিকার আইনে এক হাজারসহ দুজন ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান এবং রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন।