ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন

ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রাম রেলস্টেশনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জেলার রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি।

এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি প্রভাষক আব্দুল কাদের, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি সংগঠক নাহিদ হাসান প্রমুখ। মানববন্ধনে তারা বলেন, দরিদ্র ও সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে কুড়িগ্রামবাসীকে একদিকে রাজধানীর সঙ্গে দূরত্বের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অন্যদিকে এখন থেকে বাড়তি ভাড়াও গুনতে হবে। পুরো রংপুর বিভাগের মানুষকে নাটোর, চাটমোহর ঘুরে আসতে হয়। বগুড়া-সিরাজগঞ্জ লাইন চালু হলে কমে আসতো বাড়তি ১২২ কিলোমিটার পথ। অথচ মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ছিল শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ফ্রি হওয়ার। এ অবস্থায় ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক মনে করে বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা করা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা। ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা। আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর হবে বাড়তি ভাড়া।

গত ২২ এপ্রিল এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ বাতিল করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর হবে।