বৃষ্টিতে গোসল-আড্ডা দেওয়ার সময় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেলো ৩ জনের

মঙ্গলবার বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রাঘাতে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন নারী ও শিশুসহ আরও ৯ জন। মারা গেছে গবাদিপশু। বজ্রাঘাতে বৈদ্যুতিক মিটার, বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা, খুঁটি ও সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু স্থানে। গত ৫-৬ দিনের তীব্র তাপদাহের পর বৃষ্টি শুরু হলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ও বালিয়াডাঙ্গীতে এসব ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন সদর উপজেলার শুকানপুকুরী ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামের দুলাল উদ্দীনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৭), নজরুল ইসলামের ছেলে মুনির ইসলাম (২৮) এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান (২৩)।

আহতরা হলেন আমজানখোর ইউনিয়নের ৭ বছর বয়সী শিশু রুমান, ১৩ বছর বয়সী কিশোর রানা, ১০ বছর বয়সী শিশু সাকিবুল, ফুলতলা গ্রামের ৮ বছর বয়সী শিশু ফয়সাল, উদয়পুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম। এরা সকলেই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। এ ছাড়াও সদর উপজেলার আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কালিবাড়ী গ্রামের আব্দুল মালেক জানান, ছয় বন্ধু মিলে বাড়ির পাশে বসে ছিল। হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রাঘাত শুরু হলে তাদের ওপর এসে পড়ে। এ সময় রানা এবং আতাউর রহমান আহত হন। দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আতাউর রহমান মারা যায়।

এদিকে সদর উপজেলার শুকানপুকুরী ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামে ৫ বন্ধু মিলে পুকুরে গোসল করার সময় বজ্রাঘাতে আরিফুল ও মুনির ঘটনাস্থলে মারা যায়। বাকি ৩ বন্ধুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ ওয়াহিদ এবং বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা ঘটনায় উদ্বেগ ও মৃতদের জন্য শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জেলা প্রশাসন দাঁড়াবে।’