ধানক্ষেতে হাত বাঁধা অবস্থায় পড়ে ছিল সাঁওতাল নারীর লাশ

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার একটি ধানক্ষেত থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় বৃষনি পাহান নামে এক সাঁওতাল নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়নামোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত বৃষনি পাহান (৫৫) ওই ইউনিয়নের বেনুপুর গ্রামের মুড়াপাড়ার মৃত সাধন পাহানের মেয়ে ও পেশায় কৃষিশ্রমিক ছিলেন। প্রায় ২৫ বছর আগে স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর বাবার বাড়িতেই থাকতেন।

ওই নারীর ভাতিজা সচিন পাহান জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে পাশের গ্রাম দামারপাড়ায় এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজে গিয়েছিলেন চাচি। ওই দিন আর বাড়িতে ফেরেননি। পরিবারের লোকজন গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। শনিবার সকালে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কাটলা এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে লাশ উদ্ধারের খবর পান তারা। পরে সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেছেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মঞ্জরুল ইসলাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হকসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, ‘বৃষনি মানুষের জমিতে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকালে এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজে গিয়ে আরে ফেরেনি। অনেক খুঁজেও পাওয়া যায়নি। সকালে ধানক্ষেতে হাত বাঁধা অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়। তাকে হত্যার পর লাশ ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছে।’

এ বিষয়ে বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে মৃতের পরনের একটি ছেঁড়া পেডিকোট ও রক্তাক্ত দাঁত উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।’

ওসি মমতাজুল হক বলেন, ‌‘লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, হত্যাকাণ্ড। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’