শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা

চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমেছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বাজারে শুকনো মরিচের দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষজন। দাম যেন এমনই থাকে সেই দাবি জানিয়েছেন তারা।

সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি দোকানেই শুকনো মরিচের সরবরাহ বেশ ভালো। সেই সঙ্গে দামও নিম্নমুখী। যে শুকনো মরিচ এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি প্রকারভেদে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হতো বর্তমানে সেটা কমে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা আনছার আলী বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই শুকনো মরিচ ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল। বাড়তি দামের কারণে সংসার চালাতে যেমন হিমশিম খেতে হচ্ছিল তেমনি পরিমাণ কমিয়ে কিনতে হচ্ছিল। তবে এখন সেই অবস্থা থেকে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে শুকনো মরিচের দাম কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে। এখন মাত্র ১৬০ টাকায় এক কেজি শুকনো মরিচ কিনতে পারছি।’

হিলি বাজারে সরবরাহ বড়েছে শুকনো মরিচের

হিলি বাজারের শুকনো মরিচ বিক্রেতা আবুল হাসনাত জানান, এতদিন বাজারে শুধু বগুড়ার শুকনো মরিচের সরবরাহ ছিল। এতে করে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। কিন্তু ইতোমধ্যেই উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শুকনো মরিচের মোকাম পঞ্চগড়ের বিন্দু জাতের শুকনো মরিচ বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ ছাড়া বর্তমানে কাঁচা মরিচের দাম কম থাকায় অনেক কৃষক তা শুকিয়ে শুকনো মরিচ তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছেন। যার কারণে বাজারে আগের তুলনায় শুকনো মরিচের সরবরাহ অনেকটা বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এতে করে মোকামে আমরাও যেমন এখন কম দামে কিনতে পারছি তেমনি বাজারে কম দামে বিক্রি করতে পারছি।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমরা শুকনো মরিচ ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। যা আগে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।’