এদিকে, এ ঘটনায় রবিবার রাতে আল আমিন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইশরাত ইমতিয়াজ হৃদয়সহ ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
এই দুজন ছাড়া ছয় পরীক্ষার্থী ও বগুড়ার গুগল কোচিং সেন্টারের সহকারী পরিচালক জালিয়াত চক্রের হোতা আবির ওরফে তুহিন ওরফে জিহান ও সৈকতকে মামলার আসামি করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একটি বিশেষ টিম কাজ করে যাচ্ছে বলে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানিয়েছেন।
জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন আরও জানান, ভর্তি পরীক্ষা শাবির নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল আমাদের। পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জালিয়াত চক্রকে ডিজিটাল ডিভাইসসহ গ্রেফতার করলে শাবি কর্তৃপক্ষ কোনও অভিযোগ দেয়নি। এমনকি তাদের সঙ্গে পরবর্তীতে যোগাযোগ করা হলেও তারা সহযোগিতা করেননি।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার জানান, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অধ্যাপক আখতারুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন অধ্যাপক কবির হোসেন, ড. রাশেদ তালুকদার, ড. বেলায়েত হোসেন, শাহপরান হল প্রভোস্ট শাহেদুল হোসেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ বলেন, ‘আল আমিনকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। এ ঘটনায় সে জড়িত থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
/বিটি/