মঙ্গলাবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর কমান্ড সিলেট ইউনিটের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ রানাসহ ইউনিটের নেতারা শীতের কম্বল ও আর্থিক অনুদান নিয়ে ছুটে যান তেররতন এলাকায়।
সহযোগিতা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহমর্মিতা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের পরে ওউ (এবার) প্রথম আমি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডর (কমান্ডের) সাহাইয্য (সাহায্য) পাইলাম (পেয়েছি)।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর কমান্ড সিলেট ইউনিটের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ রানা বলেন, বাংলা ট্রিবিউনে প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে আমরা মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর অসুস্থতার বিষয়সহ তার নানাবিধ আক্ষেপের কথা জানতে পারি ও সঙ্গে সঙ্গে তার পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেই। তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাংলা ট্রিবিউনকে ধন্যবাদ। আমি আশারাখি এভাবেই দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন দেশের সাধারণ মানুষও।
বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ছিল, প্রায় ১৬ বছর ধরে সিলেট নগরীর তেররতন এলাকার একটি কলোনিতে আশ্রিতের মতো বসবাস করা মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর জীবনের দুঃখ। ৯০ বছরের বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই মুক্তিযোদ্ধা অসুস্থতার কারণে প্রায় দেড় বছর ধরেই বাসায় পড়ে আছেন’ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ছাড়া আর কোনও সাহায্য বা সহযোগিতা পাননি গত ৪৫ বছরেও।
মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীকে সহযোগিতা প্রদানের সময় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর কমান্ড সিলেট ইউনিটের কমান্ডার ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ, আমিনুর রহমান পাপ্পু ও দেওয়ান তারেক চৌধুরী।
/এমডিপি/