ভূমিকম্পে সিলেট নগরের উপশহর সি ব্লকের ছয় তলা ভবনের একটি বাসা আরেকটি ভবনের ওপর হেলে পড়েছে। ভবনগুলো একই ব্যক্তির মালিকানধীন। এছাড়াও নগরের মীরবক্সটুলার উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেলের কয়েক তলায় নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর আগেও ভূমিকম্পে ছাত্রী হোস্টেলের অন্যান্য তলায় ফাটল দেখা দেয়।
হেলে পড়া ভবনটি ছেড়ে সম্প্রতি নগরের তেররতন এলাকায় বাসা ভাড়া নেন চিকিৎসক ওয়াহিদ। তিনি বলেন, ‘গত বছরের ভূমিকম্পে ভবনটি অল্প হেলে পড়ে। আর ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিলে ভয়ে বাসাটি ছেড়ে দেই। এছাড়াও আতঙ্কে ভবন ছেড়ে দেন হানিফ, কাঞ্চন, রোমনসহ আরও কয়েকজনের পরিবার।
স্থানীয়রা আরও জানান, বাড়ির মালিক যেখানে ভবনগুলো তৈরি করেছেন সেটি ছিল ইন্দানী দিঘীর একাংশ। ওই অংশ তিনি ভরাট করে কোনও ধরনের পাইলিং ছাড়া, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে প্রায় ১২ বছর আগে ভবনগুলো তৈরি করেন। একই জায়গায় তার ৫ তলা ভবন একটি এবং ৬ তলা তিনটি ভবন রয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী এনামুল হাবীব বলেন, সিসিকের প্রকৌশল বিভাগ যদি তদন্ত করে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে তাহলে আমরা ভেঙে ফেলব।
এদিকে, ভূমিকম্পে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নতুন বাজার এলাকায় হোটেল সন্ধ্যার আবাসিক ভবন হেলে গেছে। পৌরসভা মাকেটের ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এছাড়া কমলগঞ্জ উপজেলার শতাধিক ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। নবনির্মিত অডিটোরিয়াম ভবন দেবে গেছে এবং ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
উপজেলার শমসেরনগর বাজারে একটি তিনতলা রেস্টুরেন্টে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। কুমড়াকাপনসহ বেশ কিছু এলাকার রাস্তাঘাটে ফাটল দেখা দিয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি বদরুল হাসান জানান, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল কমলগঞ্জের খুবই কাছে হওয়ায় কমলগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে উপজেলার সব অংশের খবর এখনও জানা যায়নি।
/বিটি/