মৌলভীবাজারে প্রশিক্ষকদের বেতনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের তিনটি উপজেলায় সরকারের ভিজিডি কর্মসূচির বাস্তবায়ন সহযোগী ঢাকা আহছানিয়া মিশনের ছয়জন প্রশিক্ষকের (মাস্টার ট্রেইনার) বেতনের প্রায় তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মৌলভীবাজার জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আহছানিয়া মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাওই টাকা পরিশোধ করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মহিলাবিষয়ক অধিদফতর ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুস্থ ব্যক্তিদের উন্নয়ন (ভিজিডি) সহায়তা কর্মসূচির আওতায় কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২ বছর মেয়াদে (২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত) ২ হাজার ৮৮০ জন দুস্থ নারী প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পেতেন। এসব দুস্থ নারীকে স্বাবলম্বী করে তুলতে প্রশিক্ষণ ও তাদের কাছ থেকে সঞ্চয়ের টাকা আদায়ের জন্য ঢাকা আহছানিয়া মিশন সহযোগী হিসেবে মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল।
এ কাজে সংস্থাটি তিনটি উপজেলায় একজন সমন্বয়কারী ও ছয়জন প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।
নিয়োগপত্রে প্রত্যেক প্রশিক্ষকের মাসিক বেতন সাত হাজার টাকা নির্ধারণের কথা উল্লেখ করা হয়।
ছয়জন প্রশিক্ষক চলতি মাসের গত ৬ ফেব্রুয়ারি মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের ভিজিডি শাখার উপপরিচালকের কাছে সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ইসলামের ব্যাংকের হিসাব নম্বর থেকে টাকা তুলে প্রশিক্ষকদের বেতন দেওয়া হতো।
২০১৬ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি প্রশিক্ষকদের বেতনের টাকা দেননি।
এ ছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে প্রশিক্ষকদের মাত্র দুই হাজার টাকা করে বেতনের টাকা দেন। অভিযোগের অনুলিপি জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও আহছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালকের কাছেও পাঠানো হয়।
প্রশিক্ষকদের একজন মুক্তা রানী দাস বলেন, ‘একাধিকবার বেতনের জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি (রফিকুল) সময়ক্ষেপণ করেন। টাকা না দিয়ে ডিসেম্বরের শেষের দিকে তিনি ঢাকায় চলে যান। বাধ্য হয়ে অভিযোগ জানাতে হয়েছে।’
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁদের বেতন দেওয়া হয়েছে। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এখন তারা এ অভিযোগ করছেন।’
আহছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ের কর্মসূচি সংগঠক শরীফ হোসেন বলেন, ‘বেতনের টাকা পরিশোধ করা হবে। রফিকুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
/এআর/