জানা গেছে, শহীদুল ইসলাম সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়ায় প্রাইম লাইটিং দোকানের মালিক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলার ইছুলিয়া গ্রামে। সোমবার বিকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দাড়িয়াপাড়ায় তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় এলাকার লোকজন তাকে দেখার জন্য ভিড় করেন। পরে তাকে দাফনের জন্য তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দাড়িয়াপাড়ায় ব্যবসায়ী সালাম আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শহীদুল এখানে ২০ বছর ধরে রয়েছেন। এ দীর্ঘ সময়ে তার সঙ্গে অনেক চলাফেরা করেছি। তিনি সব সময় তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। তিনি কখনও জঙ্গি হতে পারেন না।’
এলাকায় তিনি দীর্ঘ সময় রয়েছেন উল্লেখ করে শহীদুলের একাধিক প্রতিবেশী বলেন, ‘শহীদুল অনেক ভালো ছেলে। সে কখনও কারো সঙ্গে ঝামেলা করেনি। সে সব সময় তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। এমনকি গত ২৬ মার্চও স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন জায়গায় দোকানের কাজে ব্যস্ত ছিলো সে।’
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার জেদান আল মুসা (গণমাধ্যম) জানান, আতিয়া মহলের অভিযান দেখতে আসা অসংখ্য লোকজনের ভিড়ে মিশে গিয়ে জঙ্গিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় আতিয়া মহলের পাশে জঙ্গিদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা, শহীদুল ইসলামসহ ছয়জন নিহত হন।
/এমও/