জঙ্গি রিপনের দাফন সম্পন্ন

অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গি রিপনের লাশসাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হওয়া দেলোয়ার হোসেন রিপনের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুদ্দোহা পিপিএম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার (১২ এপ্রিল) রাত ১০টায় রিপনের ফাঁসি কার্যকর হয়। এরপর রাত ১০টা ৪০ মিনিটে কারাগার থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রিপনের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কোনাগাঁওয়ের উদ্দেশে রওয়ানা দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে ছিলেন রিপনের ভাই শিপন।

ওসি সামসুদ্দোহা জানান, রাত ১২টা ১০ মিনিটে কোনাগাঁওয়ে রিপনের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায়। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজা পড়ান মাওলানা ইব্রাহিম আলী। জানাজায় রিপনের পরিবারের লোকজন অংশ নেন।

ওসি আরও জানান, দাফনের সময় মৌলভীবাজার জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সিলেটের হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারে ২০০৪ সালের ২১ মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মুফতি হান্নানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখেন। এরপর তিন আসামিই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি আবেদন খারিজ করে দিলে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

আরও পড়ুন:

/এএ/