হবিগঞ্জে চালের বাজারে সংকট

Habiganj Rice crices Pic 1যেসময় চালের মিলগুলোতে হাজার হাজার বস্তা ধান ওঠানোর কথা, সেই সময় সেখানে নেই কোনও ধান। অকাল বন্যা আর পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের প্রায় ৮০ ভাগ জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে মিলগুলো এখন ফাঁকা। চাল সংকটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে চাল না থাকায় ভোক্তাদের অতিরিক্ত দাম দিয়ে চাল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। 

সূত্র জানায়, চলতি বছর হবিগঞ্জে ১ লাখ ১৬ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়।  দুই দফা অতি বৃষ্টি,বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তলিয়ে গেছে ৬৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল। বেসরকারিভাবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। ব্যবসায়ীরা সময়মত মিলে ধান তুলতে না পারায় সৃষ্টি হয়েছে চালের সংকট। জৈষ্ঠ্য মাসে যে চালের মূল্য প্রতিবস্তা ১৪শ টাকা থাকার কথা সেই চাল এখন ২২শ টাকা। এদিকে, ভোক্তারা জানিয়েছেন চালের সংকট থাকার অজুহাতে ব্যবসায়ীরা দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন।

শহরের রাজনগর এলাকার বাসিন্দা সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা যারা মধ্যবিত্ত চাল সংকটের কারণে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। যে চালের বস্তা এখন ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা থাকার কথা সেই চালের বস্তা এখন ২২শ থেকে ২৪শ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। ’

শহরের শায়েস্তানগর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল খালেক জানান,ধান সংকটের কারণে চালেরও সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা এ অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে করে তাদের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শামছুল হুদা জানান, মূলত বন্যায় ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণেই চালের সংকট দেখা দিয়েছে। এ সময় ২৮ জাতের চাল প্রতি বস্তা ১৪শ টাকার কথা। অথচ সেই চাল এখন ২২শ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। এরপরও চাল কিনতে না পারায় বাজারে চালের সংকট দেখা দিয়েছে।

হবিগঞ্জ জেলা চাল-ধান মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদ মো. আদম আলী বলেন, ‘বন্যার কারণে জমির ৮০ ভাগ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে সংকটের পরিমাণ আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। আশাকরি চাল সংকট বেশি দিন থাকবে না।’

/বিএল/