সুনামগঞ্জে বাস-মিনিবাস শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

ধর্মঘট

সিলেটে রবিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের বাস ও মিনিবাস ধর্মঘট ডেকেছে জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। পরিবহন শ্রমিকদের ওপর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন বাতিল, সিলেট কোম্পানীগঞ্জ সড়কে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে সুনামগঞ্জের বাস ও মিনিবাস শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছে।

সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সারাদিন দূরপাল্লার কোনও যানবাহন ছেড়ে যায়নি। এর ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা দুর্ভোগের স্বীকার হয়েছেন। সিলেটের সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ছাতক ও জগন্নাথপুর রোডে মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বিকল্প পরিবহন হিসেবে সিএনজি ফোরস্ট্রোক ও লেগুনা দিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে গেছে। তবে অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীর জন্য এ ধর্মঘট আরও বিপদ ডেকে এনেছে। তারা কোথাও যেতে পারছেন না। বিকল্প পরিবহনে বেশি ভাড়া দিয়ে যাওয়ার সামর্থ যাদের নেই তারাই বেশি দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। 

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রতারগাও গ্রামের মালিক মিয়া বলেন,‘রোগী দেখার জন্য সিলেট যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারণে যেতে পারছি না।’

তাহিরপুর উপজেলার কামারগাও গ্রামের ময়না মিয়া বলেন,‘গ্রামে কাজ নেই, তাই পরিবার নিয়ে সিলেট যাচ্ছি। কিন্তু ভোর থেকে বসে আছি। এখন পর্যন্ত কোনও গাড়ি ছাড়েনি।

ধর্মপাশা উপজেলার জয়তুন বেগম বলেন,‘গাড়িওয়ালাদের ভেজাল-বিবাদ থাকলে সরকারের সঙ্গে আছে যাত্রীদের সঙ্গে কি। গাড়ি না ছাড়ায় শত শত যাত্রী ভোগান্তিতে পড়ছে। ’

সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের নিশু হালদার বলেন,‘যাত্রীদের জিম্মি করে কোনও আন্দোলন হতে পারে না। এটি প্রত্যাহার করা উচিত। যারা কথায় কথায় ধর্মঘট ডাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

সুনামগঞ্জ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাহার উদ্দিন বলেন,‘৫ দফা দাবি আদায়ের জন্য তারা ধর্মঘট ডেকেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।’

/জেবি/এমএ/

আরও পড়তে পারেন: কাপ্তাই হ্রদে পানি কমায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে