সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পোড়ানো মামলার ৫ বছর আজ

২০১২ সালের ৮ জুলাই রাতে আগুনে পুড়ে যায় সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসসিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাস পোড়ানোর মামলার পাঁচ বছর আজ শনিবার (৮ জুলাই)। গত ৫ বছরেও এই মামলার গতি হয়নি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর হাতঘুরে মামলাটি এখন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির হাতে। তবে শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এ কমিটি।
আলোচিত এ মামলার রহস্য উদঘাটন করতে আদালতের নির্দেশে প্রথমে তদন্তের দায়িত্ব পায় হয় সিআইডি। ২০১৩ সালের ৩১শে অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। কিন্তু আদালত এ প্রতিবেদন গ্রহণ না করে আবার তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর আবার তদন্ত করে ২০১৫ সালের ৯ই আগস্ট ফের আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় সিআইডি। ওই প্রতিবেদনও আদালত গ্রহণ না করে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পিবিআই’কে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু পিবিআইও গ্রহণযোগ্য প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়। এরপর চলতি বছরের ৩১মে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সারাবন তহুরা।

এসময় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ছাত্রাবাস থেকে বের হচ্ছেআগামী দেড় থেকে দু’ মাসের মধ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পোড়ানো মামলার প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানায়। ইতোমধ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণও পেয়েছে এ কমিটি। আলোচিত এ মামলায় আরও কয়েকজনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলে কমিটি সূত্রে জানা যায়।

সিলেট পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারওয়ার জাহান বাংলা ট্রিবিউন’কে জানান, কারা আগুন দিয়েছে সে বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেননি মামলার বাদী। সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্যই নেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনও বক্তব্যেই কারও নাম উঠে আসেনি।

২০১২ সালের ৮ জুলাই সন্ধ্যায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শত বছরের পুরনো মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রবাস। পুড়ে যায় হোস্টেলের প্রথম, দ্বিয়ীয় ও চতুর্থ ব্লক। এ ঘটনায় হোস্টেলের হল সুপার বশির আহমদ বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ২০১২ সালের ১৩ জুলাই মামলা দায়ের করেন। তদন্ত চলাকালে আরও দুটি মামলা হয় আদালতে। এ দুটি মামলাও বশির আহমদের দায়ের করা মামলার সঙ্গে নথিভুক্ত করা হয়।

/এএইচ/এসএমএ/