খামারিরা জানান, হাওরের গভীর পানিতে ভাসমান পোকা মাকড় খেয়ে তাদের হাঁসগুলো কোনও রকমে বেঁচে আছে। হাওরে পানি বৃদ্ধির আগে হাঁস জলজ প্রাণি শামুক-ঝিনুক খেয়ে জীবনধারন করতো। এখন হাওরের পানি বেড়ে যাওয়ায় হাঁসের খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পরপর দুইবার ফসলহানির ফলে খামারিদের ঘরে নিজেদের খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। তাই হাঁসের খাবারের যোগান দিতে পারছেন না। প্রতিদিন হাওরের পানিতে হাঁস নিয়ে যান কিন্তু সেখানে হাঁসের কোনও খাবার নেই।
খামারি হারু মিয়া বলেন, ‘খাদ্যের অভাবে হাঁসগুলো ক্রমশ দুর্বল হয়ে চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। পরে এক সময় মারা যায়। খামারিদের হাঁসের ঘরে বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় হাঁস রাখার কোনও জায়গা নেই তাদের। সরকার খাদ্য সংকট দূর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে খামারিরা সর্বস্বান্ত হবেন।’
নুরু মিয়া বলেন, দুই বারের বন্যায় ফসলহানিতে মানুষের ঘরে ভাত নেই। এখন আবার হাঁসের মড়ক খামারিদের দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি সাহায্য না পেলে খামারিরা পথে বসবে।
জোছনা খাতুন বলেন, ঘরে মানুষের খাবার নেই। হাঁসের খাবার কিনে দেওয়ার টাকাও নেই। এখন হাঁস ও মানুষ কিভাবে বাঁচবে। লালপুর গ্রামে ছোট বড়ো ৮টি হাঁসের খামার রয়েছে। এসব খামারে ৫০ হাজার হাঁস রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যার কারণে হাঁস মারা যাওয়ার কোনও খবর তিনি জানেন না। জনবল সংকটের কারণে সব জায়গার খবরও রাখতে পারেন না।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান জানান, লালপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় ২২০০ মতো হাঁস মারা গেছে বলে শুনেছেন। হাঁস মারা যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের তালিকা তৈরি করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জেলায় দুই হাজার ৭০৭টি হাঁসের খামার রয়েছে। খামারি ও গৃহপালিত হাঁস রয়েছে ২৫ লাখ ৫ হাজার।
/বিএল/
আরও পড়ুন: