প্রতিমা তৈরির কারিগর কার্তিক পাল জানান, ছয় মাস আগে প্রতিমা তৈরির কাজে হাত দেন তিনি। তার সঙ্গে রয়েছে পাঁচ সদেস্যর একটি দল। তিনি এ বছর হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ১৪টি মূর্তি তৈরি করছেন। এখন চলছে রঙের কাজ। প্রতিটি মূর্তি তৈরি করতে ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা নেন তিনি।
একই মণ্ডপের কারিগর বিধান রায় জানান, এখানে কাজ শেষ করে অন্য মণ্ডপে যেতে হবে। তাই দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে। এখন দম ফেলানোর সময়ও নেই।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার দেব জানান, সবার প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন সম্ভব হবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা কাজ করবে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা জানান, দুর্গাপূজাকে ঘিরে হবিগঞ্জে পুলিশের তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পূজার সময় বাসা বাড়িতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা থাকলে পুলিশকে অবগত করার আহ্বান জানান পুলিশ সুপার।
তিনি আরও জানান, এ বছর রাত ৮টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। এছাড়া পূজায় ডিজে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ জন্য পুলিশ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে।