তিনি জানান, নিহত আফছার উদ্দিন চৌধুরী রাজু কাতার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) কর্মরত ছিলেন। আসামি গ্রেফতারে অভিযানে গিয়ে ভিয়েতনামের দুর্বৃত্তদের হাতে প্রাণ হারান তিনি। নিহত রাজু কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মো. আব্দুল আউয়াল চৌধুরীর ছেলে।
নিহতের চাচাতো ভাই রাকিব চৌধুরী জানান, রাজুর লাশ কাতারের দোহায় হামাদ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার সময় রাজুর সঙ্গে থাকা আহত কাতারের আরও তিন পুলিশকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, রাজু ২০১৪ সালে কাতারে যান। সেখানে তিনি সিআইডি পুলিশে চাকরি করতেন। তার মা-বাবা ও এক বোন রয়েছে। রাজুর মৃত্যুতে তার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
রাজুর বাবা আব্দুল আউয়াল চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার ছেলের লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।’
রাজুর বড় চাচা আব্দুল আহাদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার একমাত্র ভাতিজা রাজুর মৃতদেহ কাতারের দোহায় হামাদ হাসপাতালে পড়ে থাকতে দেখে সেখানকার পরিচিত একজন ফোন করে বাড়িতে খবর দেন। তার মৃতদেহ দেশে আনার জন্য কাতারের রাষ্ট্রদূত বরাবর অাবেদন করা হয়েছে।’