জাফর ইকবালকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত শাবি

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষক ও জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাফর ইকবালকে বরণ করা হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
শাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রেজা সেলিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অধ্যাপক জাফর ইকবালকে সিলেট এয়ারপোর্টে ফুল দিয়ে বরণ করা হবে। আমরা শিক্ষকরা সিলেট এয়ারপোর্টে গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসবো।’
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যাপক জাফর ইকবাল দুপুরের দিকে সিলেটে এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে তিনি সোজা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স কোয়ার্টারের বাসায় যাবেন। পরে বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে (হামলার স্থান) সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।’
ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মাহফুজুল হক শুভ বলেন, ‘স্যারকে ফুল দিয়ে বরণ করাসহ বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সবাই আলাদাভাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্যারের কাছে চিঠি লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মুক্তমঞ্চে একসঙ্গে সব চিঠি দেওয়া হতে পারে।’
অল্প পরিসরে স্যারকে বরণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক রিতেশ্বর তালুকদার বলেন, ‘সবাই আলাদাভাবেই স্যারের কাছে চিঠি লিখছে। এছাড়া স্যারকে নিয়ে আঁকা বিভিন্ন ছবিও দেওয়া হবে। মুক্তমঞ্চে স্যার সবার সঙ্গে কথা বলবেন এবং পরবর্তীতে নিজ বিভাগে আসবেন।’
এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় চিকিৎসা শেষে অধ্যাপক জাফর ইকবালকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে রিলিজ দেওয়া হয়।

আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ পরিদফতরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম শাম্মী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ড. জাফর ইকবাল এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তবে সাত দিন তাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ রাত থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন ড. জাফর ইকবাল। ওইদিন বিকালে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে তিনি হামলার শিকার হন।