শিশুর আঙুল কাটার চেষ্টা: ৪ দিনেও গ্রেফতার হয়নি প্রধান আসামি

অদুদ মিয়াসুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ফসল রক্ষা বাঁধে খেলতে যাওয়া এক শিশুর আঙ্গুল কাটার চেষ্টার ঘটনার চারদিন পরও প্রধান আসামি অদুদ মিয়াকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে এ মামলায় দ্বিতীয় আসামি আলম মিয়াকে তাহিরপুর বাজার থেকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শিশু ইয়াহিনকে নির্যাতনের ঘটনার পরপরই দুই জনকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় তার বাবা শাহানূর মিয়া বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই  প্রধান অভিযুক্ত অদুদ মিয়া পলাতক রয়েছেন।

এদিকে নির্যাতনের শিকার ইয়াহিন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিশু ইয়াহিনের শারীরিক অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে শিশুটির চিকিৎসা করছে। তার ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল দিয়ে সে কাজ করতে পারবে। তবে কিছুটা সময় লাগবে।’ফসল রক্ষা বাঁধে খেলাধুলা করায় শিশুর আঙুল কাটার চেষ্টা

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রধান আসামি অদুদ মিয়া পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হবে।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকালে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামের মহালিয়ার হাওরের ময়নাখালী ফসলরক্ষা বাঁধে খেলাধুলা করছিল কয়েকটি শিশু। এ সময় ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের  প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অদুদ মিয়া ও তার ভাই তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ৫ বছর বয়সী শিশু ইয়াহিনকে তারা ধরে ফেলে।  এসময় ধান কাটার কাচি দিয়ে আঘাত করলে শিশুটির ডান হাতের তিনটি আঙুল কেটে যায়। পরে ইয়াহিনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ইয়াহিনকে হাসপাতালে দেখতে যান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার লোকজন। পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান শিশুটির চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে নগদ ২০ হাজার টাকা দেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনও শিশুটির চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেন। জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম শিশুটির পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

আরও পড়ুন- ফসল রক্ষা বাঁধে খেলাধুলা করায় শিশুর আঙুল কাটার চেষ্টা