এবার ভাঙছে কুশিয়ারা, বাঁধ রক্ষার চেষ্টায় সেনাবাহিনী ও পাউবো

মৌলভীবাজার রাজনগর এলাকার কুশিয়ারা বাঁধমৌলভীবাজারে এবার কুশিয়ারা নদীতে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন থেকে উত্তরভাগ ইউনিয়নের হলদিকুল এলাকায়  বাঁধ রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী,পাউবো ও স্থানীয়রা।  কিছুদিন আগে মনু নদীর ভাঙনে কামারচাক, মনসুরনগর ও টেংরা ইউনিয়নে বন্যা দেখা দেয়। ওই এলাকার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতেই উপজেলার হলদিকুল এলাকা দিয়ে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ নতুন করে ভাঙছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি উপচে রাজনগর ও ফতেহপুর প্লাবিত হয়ে বন্যার পানি কাউয়াদীঘি হাওরসহ আশপাশর এলাকায় প্রবেশ করে। মৌলভীবাজার সদরসহ কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির দিকে।

পাউবোর অবহেলার কারণে কালাইগুল এলাকার ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও লোকজন অভিযোগ করেছেন। মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি সৈয়দা সায়রা মহসিন উত্তরভাগ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

মনু নদীর পানি মৌলভীবাজার শহরের কাছে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটের পানি নামছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি এখনও ভাঙন এলাকায় আছি। কুশিয়ারা নদীর ডেনজার লেভেল হলো ৮.০৪ মিটার। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১৫ মিনিটে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছিল। গাছপালা ও বালু ভর্তি বস্তা দিয়ে বাঁধ ঠেকানো যাচ্ছে না। পানির তোড়ে সব নিয়ে যাচ্ছে। আর মনু নদীর পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার  নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনু নদীর পানি কমে গিয়ে কুশিয়ারা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে।’