২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে কামরান বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে প্রায় ৩০ হাজার ভোটে হেরে যান। ওই নির্বাচনে সিলেট আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ছিল না বলেই হেরে যান কামরান। এমনকি সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল অধিকাংশ নেতাদের সেন্টারেই তাকে হারতে হয়। সেকথা মাথায় রেখেই এবার সেন্টার কমিটি গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে কামরানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ঘরে ঘরে সরকারের উন্নয়ন বার্তা ও নৌকা প্রতীকে ভোট চাইতে সিলেট আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ২৭টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সেন্টার কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সমন্বকারী হিসেবে কাজ করবেন দলের শীর্ষ নেতারা। এসব কমিটির পরিধি ওয়ার্ডের জনসংখ্যা বিবেচনায় করা হচ্ছে। কোথাও ১০১, কোথাও ৭১ আবার কোথাও ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটিতে ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদের নেতাদেরকে রাখা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিটি নির্বাচন নিয়ে সিলেট আওয়ামী লীগ আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এবার প্রতিটি কেন্দ্রে কর্মদক্ষ দেখেই এজেন্ট নিয়োগ করা হবে। যেখানে অন্যান্য দল তাদের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে বেকায়দায় সেখানে অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ৩০ জুলাই আমারা নৌকায় পাল উড়াবোই।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭ ওয়ার্ডের ১৩৪টি কেন্দ্রেই আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী কামরানের জয় চায় দল। এজন্য দলটির নেতাকর্মীরা সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২৭ ওয়ার্ডে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে ৯টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতি তিনটি ওয়ার্ডে একটি টিম কাজ করবে। ১৩৪টি কেন্দ্র ছাড়া এবারের সিটি নির্বাচনে ভোট কক্ষ রয়েছে ৯২৬টি। এর মধ্যে অস্থায়ী কক্ষ ৩৪টি।
মেয়র পদপ্রার্থী কামরান বলেন, ‘এই সিলেটের মানুষ আমাকে কমিশনার থেকে চেয়ারম্যান এরপর দু’বার সিটি মেয়র নির্বাচিত করেন। আমার জীবনের বাকি সময় এই সিলেটের মানুসের জন্য উৎসর্গ করতে চাই। জননেত্রী সিলেট সিটি নির্বাচনে নৌকাকে জয়ী করতে যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে সিলেটে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা অত্যন্ত ঐক্যবদ্ধ ও আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দর্জিপাড়া সার্ক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের সেন্টার কমিটির আহ্বায়ক জাবেদ সিরাজ বলেন, ‘সিলেটে বিএনপির মেয়র থাকার পরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই মহানগরীর উন্নয়ন হয়েছে। নৌকার জয় নিশ্চিত করতে এবার আমাদের এই ভোট কেন্দ্রে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট সেন্টার কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই সেন্টার কমিটির মাধ্যমেই আমরা সরকারের উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই।’