এদিকে তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা মনে করছেন, সব দলের মতো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী পোস্টারে তাদের ছবি ব্যবহার করলে ভোটারদের জন্য অনেকটা সুবিধা হতো। যেখানে অন্যান্য দলের প্রার্থীরা তাদের ছবি ব্যবহার করছেন আর সেখানে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী তার ছবিবিহীন পোস্টার সাঁটিয়ে যেভাবে প্রচারণা করেছেন সেটা নির্বাচনি আমেজের মধ্যে পড়ে না বলে তারা মনে করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান বলেন, ‘আমাদের দল কোনওভাবেই পোস্টারে ছবি ব্যবহারের পক্ষে নয়। আমি যেহেতু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত একজন মেয়র প্রার্থী, তাই দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার আমার কোনও সুযোগ নেই। দলের নিয়মনীতি মেনেই আমাকে সব কাজ করতে হবে।’
মোয়াজ্জেম হোসেন আরও বলেন, ‘ভোটাররা যেহেতু আমাকে পোস্টারে দেখতে পাচ্ছে না, সেজন্য আমি অধিকাংশ সময় চেষ্টা করি ভোটারদের কাছাকাছি যেতে। এমনকি দেখা করে তাদেরকে আমি বলি “আমার পোস্টারে ছবি নাই যার কারণেই আমি ভোট চাইতে আপনাদের কাছে স্বশরীরে এসেছি”।
নির্বাচন নিয়ে কোনও শঙ্কা আছে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ দেখেছে খুলনা এবং গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কী হয়েছে। তবুও এটা মেনে নিয়েই আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমি মনে করি, গাজীপুর ও খুলনার চেয়ে একটু ভালো নির্বাচন সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইসলামী আন্দোলন ‘পীরভিত্তিক দল’ হওয়ায় অনুসারীদের সংখ্যা আনুপাতিক হারে বেশি। বিশেষ করে দেওবন্দ ও কওমি ঘরানার পীর হিসেবে ‘চরমোনাই ধারাটি’ গ্রহণযোগ্য বেশি। ‘পীরভিত্তিক’ দল হওয়ার কারণেই শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে দলটির জনপ্রিয়তা রয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর বাইরে তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।