ধর্ষণ মামলায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কারাগারে

সুনামগঞ্জধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি আইনজীবী নান্টু রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিবাদী পক্ষে মামলার আইনজীবী ছিলেন হুমায়ন মঞ্জুর চৌধুরী ও মামুনুর রশিদ কয়েছ।

জানা যায়, ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ আনেন একজন নারী। পরে বিশ্বম্ভরপুর থানায় হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চার সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, হারুন অর রশিদ তাকে একটি সেলাই মেশিন দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এজন্য তিনি ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কার্যালয়ে যান। তখন চেয়ারম্যান তাকে কার্যালয়ের দোতলায় একটি কক্ষে যেতে বলেন। পরে তিনি ওই কক্ষে গেলে চেয়ারম্যান তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর রাতে থানায় মামলা হয়।

তবে ঘটনার পরদিন ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে তিনি পরীক্ষা করাতে রাজি হননি। একই সঙ্গে তিনি এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেও সাংবাদিকদের জানান।

তবে এই ঘটনার বিচার চেয়ে এলাকাবাসী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে।

এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অস্থায়ী জামিনে ছিলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ। সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত হারুনুর রশিদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।