সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের ৯৭ ভাগ কাজ শেষ

 

সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের ৯৭ ভাগ কাজ ও সব বাঁধে মাটি ফেলার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটি। রবিবার বিকেল ৫টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া।

জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে ‘২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সংশোধিত কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) কর্মসূচির আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার কাজের অগ্রগতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি আরও বলেন,‘যে সব বাঁধে ত্রুটি রয়েছে সেগুলো শিগগিরই চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এসময় উপস্থিত বক্তারা জেলার বিভিন্ন হাওরের অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে ধরেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ বলেন,‘আগামী মাসের ২ তারিখে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, উপ-মন্ত্রী ও সচিবগণ আসবেন। শুধু সুনামগঞ্জ নয় সারা দেশ সুনামগঞ্জের হাওর নিয়ে চিন্তিত। যে সব বাঁধে কাজ হয়নি, সে সবের বিল দেওয়া হবে না।

তিনি সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ফসল রক্ষা বাঁধের স্থির চিত্র ও ভিডিও সংরক্ষণ করার আহ্বান জানান।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভুইয়া উপস্থিত সুধীজনের প্রশ্নের জবাবে বলেন,‘৫৭২টি পিআইসির মাধ্যমে জেলার হাওরগুলোতে সাড়ে চারশো কিলোমিটার বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। এজন্য  সরকার থেকে  ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। হাওরের সমস্যা স্থায়ীভাবে নিরসনের জন্য ১২৩ কজওয়ে নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ- পরিচালক এমরান হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি প্রদীপ কুমার সিংহ, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী নুরুল মোমেন, মালেক হোসেন পীর, অ্যাডভোকেট আলী আমজাদ, আতম সালেহ, হাওর ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পিযুষ পুরকায়স্থ টিটু, জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও  ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো. সফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (১) আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া নির্বাহী প্রকৌশলী (২) খুশিমোহন সরকারসহ জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিস প্রধানরা।