কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক নারী (২৫) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
ভুক্তভোগী নারী শনিবার (২৮ জুন) মুরাদনগর থানায় ফজর আলী নামের এক ব্যক্তিকে একমাত্র আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ফজর আলী পলাতক রয়েছেন। তবে ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে গণপিটুনির শিকার হলেও অভিযুক্ত ফজর আলী পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানার পর মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও ধারণ ও ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে মুরাদনগরের একটি গ্রামে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ অনুযায়ী, ওই রাতে ফজর আলী ঘরের দরজা খুলে ভুক্তভোগীর কক্ষে প্রবেশ করে এবং গলায় ছুরি ধরে তাকে ধর্ষণ করে।
এজাহারে ভুক্তভোগী জানান, তিনি প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। এরপর থেকেই ফজর আলী তাকে বিরক্ত করছিল। ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে ফজর আলী কৌশলে ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে তাকে ধর্ষণ করে এবং কাউকে জানালে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।