তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হওয়ার পরও যথাযথ ব্যবস্থা দ্রুত না হওয়ার কারণে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সোহেল রানাকে শোকজ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেনকে ক্লোজড করা হয়েছে।’
তবে এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, আসামিকে ধরতে আমার চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিলো না।
শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন, এসআই দেলোয়ারকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
এদিকে ধর্ষনের ঘটনার শিকার হওয়া শিক্ষার্থী বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামে নিজঘরে একা পেয়ে স্থানীয় আব্দুল গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের মো. মুন্না আহমেদ (১৮)। ঘটনার দু’দিনের মাথায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলেও পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি। পরে গত শনিবার বিকেলে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের এএসপি কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল অভিযুক্তকে উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নে সরকার বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে শ্রীমঙ্গল থানায় সোপর্দ করে। পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।