শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেটের ভেলাগঞ্জের পর ক্রমান্বয়ে হাট বসবে সিলেটের বিয়ানীবাজার ও কানাইঘাটে সীমান্ত এলাকায় দুটি। এছাড়াও ক্রমান্বয়ে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও মৌলভীবাজারে দুটি হাট বসানো হবে। হাটগুলোতে বাংলাদেশ-ভারতের পাঁচ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বসবাসকারীরা ব্যবসা করতে পারবেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশের ৫০ ও ভারতের ৫০ জন ব্যবসা করার অনুমতি পাবেন। তবে তাদেরকে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। সীমান্তের হাটের জন্য সপ্তাহের কোনও একটি দিন নির্ধারণ করা হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে উভয় দেশের জন্য সীমান্তে বর্ডার হাট স্থাপনের লক্ষ্যে একটি বিশেষ সমঝোতা স্বাক্ষর করেন। সেই অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে মোট ৪টি পয়েন্টে বর্ডার হাট চালুর ব্যবস্থা করা হয়। এরমধ্যে ২০১১ সালের ২৩ জুলাই কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামীরতে প্রথম, ২০১২ সালের ১ মে সুনাগঞ্জের ডলুরাতে দ্বিতীয়, ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব মধুগ্রাম ও ছয়ঘরিয়ার মধ্যবর্তী স্থানের সীমান্তের তৃতীয় ও ওই বছরের ৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তারাপুর সীমান্তে চতুর্থ বর্ডার হাট চালু করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল আলোচনার ভিত্তিতে নতুনভাবে সংশোধিত কলেবরে বর্ডার হাট সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয় যেখানে পণ্য বেচাকেনার অনুমোদিত সীমা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয় পরিবর্তন আনা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের চারটি বর্ডার হাট চালু রয়েছে। ‘
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্ডার হাটে উভয় দেশের দুটি প্রবেশ পথ থাকবে। তবে বর্ডার হাটের সীমানা কাঁটাতারের প্রাচীর দিয়ে সুরক্ষিত থাকবে। উভয় দেশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটিতে পুলিশ, কাস্টমস, সীমান্তরক্ষী বাহিনী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গ্রাম ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। হাটগুলোতে কৃষিপণ্য, কাপড়, কসমেটিকস,ওষুধ, মেলামাইন, ফলের জুস, বাঁশ-বেতের পণ্য বিক্রি করা যাবে।