ট্রেন দুর্ঘটনা, ওসমানী মেডিক্যালে আহত ২৯ জনই শঙ্কামুক্ত

১২মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় সেতু ভেঙে আন্তঃনগর ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের কয়েকটি বগি খালে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় আহতদের মধ্যে ২৯ জন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের সবাই শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডা. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই হাসপাতাল ছেড়ে যান। কয়েকজন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা এখন ভালো।
ডা. আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘আহতদের সেবা দেওয়ার জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রস্তুত। রবিবার রাত থেকেই চিকিৎসকদের একটি টিম কাজ করছে। আমাদের হাসপাতালে সেবা দেওয়ার জন্য ফুল সাপোর্ট রয়েছে।’
সিলেট থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে রবিবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকার অদূরে ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সেতু ভেঙে এর কয়েকটি বগি খালে পড়ে যায়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে সেতু ভেঙে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করছে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযানে স্থানীয়রাও অংশ নিয়েছেন।
এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুন) সকালে রেলওয়ের প্রধান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পূর্ব) মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আরও তিনজন সদস্য হলেন- প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল জলিল, সুজিত কুমার বিশ্বাস ও ময়নুল ইসলাম।

আরও পড়ুন:
উপবন এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৫, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ