ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে দু’জন ওসমানী মেডিক্যালের নার্স

৩২১মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় সেতু ভেঙে আন্তঃনগর ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের কয়েকটি বগি খালে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে দু’জন শিক্ষানবিশ নার্স ছিলেন। তারা হলেন−বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানাধীন বানদর খোলা গ্রামের সানজিদা আক্তার ও সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুরের আব্দুল্লাপুর গ্রামের ফাহমিদা ইয়াসমিন ইভা। তারা দু’জনই সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের (নতুন) শিক্ষার্থী ছিলেন।
সিলেট ওসমানী মেডিক্যালের নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক ট্রিবিউনকে জানান, মেডিক্যাল নার্স কলেজের সানজিদা ও ফাহমিদা নামে দুই শিক্ষানবিশ নার্স নিহত হয়েছেন।
নিহত ফাহমিদার ভাই আব্দুল হামিদ জানান, রাতে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বোনের খোঁজে ঘটনাস্থলে আসেন তিনি। সেখানে বোনকে না পেয়ে কুলাউড়া হাসপাতালে এসে তার বোনকে শনাক্ত করেন। তার বোনসহ কয়েকজন নার্সিং ট্রেনিংয়ের জন্য সিলেট থেকে উপবনযোগে ঢাকা যাচ্ছিলেন।
সিলেট থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে রবিবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকার অদূরে ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সেতু ভেঙে এর কয়েকটি বগি খালে পড়ে যায়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে সেতু ভেঙে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করছে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযানে স্থানীয়রাও অংশ নিয়েছেন।
এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুন) সকালে রেলওয়ের প্রধান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পূর্ব) মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আরও তিনজন সদস্য হলেন−প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল জলিল, সুজিত কুমার বিশ্বাস ও ময়নুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:


ট্রেন দুর্ঘটনা, ওসমানী মেডিক্যালে আহত ২৯ জনই শঙ্কামুক্ত

উপবন এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৫, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ