আতিয়া মহলে সন্ত্রাসী হামলা মামলার চার্জশিট দাখিল, অভিযুক্ত ৩





আতিয়া মহলসিলেটের দক্ষিণ সুরমার আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় বিস্ফোরণে র‌্যাব ও পুলিশসহ সাত জন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এতে তিন জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (পিবিআই, সিলেট) আবুল হোসেন।
আবুল হোসেন বলেন, ‘আতিয়া মহলে বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরাধী আইনে দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্রে নিহত মর্জিনার ভাবি আর্জিনা (১৯), তার ভাই জহুরুল হক (২৫) ও তাদের প্রতিবেশী হাসানকে (২৬) অভিযুক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ এই তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযোগপত্রে পুলিশসহ ৩৩ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই তিন জনই জঙ্গিদলের সদস্য। আতিয়া মহলে নিহত চার জঙ্গিকে এরাই জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এছাড়া এতে মোশারফ নামে আরেক জঙ্গির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। সে মৌলভীবাজারে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে মারা যায়।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ সিলেটের শিববাড়ির আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু হয়। ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামে ওই অভিযান শুরুর আগে আতিয়া মহলের পাঁচ তলা ভবনের ২৯টি ফ্ল্যাট থেকে নারী-শিশুসহ ৭৮ জনকে সরিয়ে নেন সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা। ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় আতিয়া মহলের অদূরে মাদ্রাসার সামনে প্রথমে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। পরবর্তী সময়ে তাদের রেখে যাওয়া হলুদ রঙের একটি ব্যাগ জব্দ করতে গেলে ফের গ্রেনেডের বিস্ফোরণ হয়। এতে র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, দুই পুলিশ ইন্সপেক্টরসহ সাত জন নিহত হন। আহত হন আরও ৫০ জন।
এ ঘটনায় মোগলাবাজার থানার এসআই শিপলু দাস (তৎকালীন) বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আতিয়া মহল থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় একই থানার এসআই সুহেল আহমদ (তৎকালীন) বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর প্রথমে থানা পুলিশের পাশাপাশি ঘটনার ছায়া তদন্তে নামে র‌্যাব এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। একপর্যায়ে মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই।