বাছিরপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শরিফ মিয়া ও ইসলাম উদ্দিন জানান, প্রতিবছর শিম, বরবটি, শসা, করোলা, লাউ, টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন। ফলনও ভালো হয়। কিন্তু এবছর মোজাইক রোগের আক্রমণে তাদের বেশিরভাগ শিম গাছ মরে গেছে।
তারা জানান, গত বছর প্রতিদিনে গড়ে ১৭-২২ কেজি করে শিম সংগ্রহ করেছেন। এবছর শিমের পাতা হলুদ হয়ে গাছগুলো ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার বাছিরপুর এলাকায় জরিপ করতে গিয়ে কয়েকটি রোগের লক্ষ্মণ পেয়েছে কৃষি কর্মকর্তারা। তার মধ্যে শিমের পাতার হলুদ রোগ বা মোজাইক রোগ, শিম ও বরবটিতে জাবপোকা বা ছাইপোকা, পঁচা রোগ বা মড়ক, লাউ, কুমড়া ও মিষ্টি লাউয়ে মাছি পোকার আক্রমণ।
জুড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পংকজ কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা বাছিরপুর এলাকায় রোগগুলোর প্রাদুর্ভাব পেয়েছি। এ নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে রোগ দমন করতে পরামর্শ দিয়েছি। নিয়মিত কীটনাশক ব্যবহার করলে এ রোগ দমন করা সম্ভব।’
মৌলভীবাজারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন,ভাইরাস জনিত মোজাইক রোগ শিম ফসলের মারাত্মক ক্ষতি করে। এ রোগ দমনে নিয়মিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। বাকি রোগগুলো দমনে পটাশ সার ব্যবহার করা যেতে পারে।